29 C
Kolkata
Saturday, 19 July, 2025

Buy now

spot_img

“সৃজনশীলতা বনাম যান্ত্রিকতা”: লেখক ও সাহিত্যিকদের চোখে এআই-এর প্রভাব

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন খাতে প্রভাব বিস্তার করছে, এবং সাহিত্য জগতও এর বাইরে নয়। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ এমনকি উপন্যাস লেখায় এখন AI ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এই প্রযুক্তির আগমন লেখক সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। একদিকে যেমন এটি লেখকদের সৃজনশীলতায় সহায়তা করছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ মনে করছেন—এটি ধীরে ধীরে মানুষের মৌলিক চিন্তাশক্তি ও সৃষ্টিশীলতাকে খণ্ডিত করছে।

AI লেখকদের জন্য একটি শক্তিশালী টুল হয়ে উঠছে। এটি দ্রুত তথ্য খুঁজে বের করতে, নতুন ধারণা তৈরি করতে বা লেখার ধরণ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিতে সক্ষম। অনেক নতুন লেখক, যারা লেখালেখির সূচনালগ্নে আছেন, তাদের জন্য AI যেন এক ধরনের মেন্টরের ভূমিকা পালন করে। গল্পের কাঠামো তৈরি, চরিত্র নির্মাণ কিংবা নির্দিষ্ট শৈলীতে লেখার জন্য AI দিতে পারে কার্যকর সহায়তা।

তবে এখানেই উঠে আসে একটি প্রশ্ন—এই সহায়তা কি স্বাধীন চিন্তাকে প্রতিস্থাপন করছে? যখন AI লেখে, তখন সেটি মানবিক অনুভূতির গভীরতা বা ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন করতে পারে না। সাহিত্য শুধু তথ্য নয়, তা হল অন্তরের গভীর থেকে আসা অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এই দিক থেকে দেখলে, AI কখনোই একজন প্রকৃত সাহিত্যিকের স্থান নিতে পারবে না। কিন্তু যদি লেখক নিজেই AI-কে একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করেন, সহকারী হিসেবে নয় বরং সহযোদ্ধা হিসেবে, তবে হয়ত সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা হবে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখকরা যখন AI-এর সঙ্গে বড় হবে, তখন তাদের জন্য এটি হবে লেখার এক প্রাকৃতিক অংশ। তারা শিখবে কীভাবে AI-এর সহায়তায় আরও উন্নত, তথ্যনির্ভর ও উপভোগ্য সাহিত্য তৈরি করা যায়—তবে সেই সাহিত্যকে মানবিক রাখাই হবে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

চিত্রঃ সৃজনশীল লেখিকা না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)

সুতরাং, AI কি লেখকদের সৃজনশীলতা ‘হারিয়ে’ দিচ্ছে? না, বরং এটি তাদের সামনে নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে। এখন এই দরজা দিয়ে তারা কীভাবে প্রবেশ করবে—এই সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে সাহিত্যের ভবিষ্যৎ।

মানুষ সভ্যতার শুরু থেকেই যন্ত্র ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল, তবে সে নির্ভরতা ছিল নিয়ন্ত্রণাধীন। সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে। আজ আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে আছি যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI শুধু মানুষের কাজ সহজ করছে না—বরং কখনো কখনো মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। AI নির্ভর এই সমাজে লেখালেখি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ছে এর প্রভাব। আর এই পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যাদের জীবন হবে প্রযুক্তিনির্ভরতার পূর্ণ প্রতিচ্ছবি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এমন এক প্রযুক্তি যা মানুষের চিন্তা, বিশ্লেষণ, ও শেখার ক্ষমতাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনুকরণ করতে পারে। ১৯৫০ সালে অ্যালান টিউরিং AI-এর ভিত্তিপ্রস্তর রাখেন “Turing Test” ধারণার মাধ্যমে 

চিত্রঃ অ্যালান ম্যাথিসন টিউরিং ও তাঁর টিউরিং যন্ত্র

এরপর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, উন্নয়ন এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ AI-কে একটি বিপ্লবী প্রযুক্তিতে পরিণত করেছে।

আজকের Artificial Intelligence:

  • Machine Learning (ML): তথ্য থেকে শেখা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া
চিত্রঃ মেশিন লার্নিং (ML ) বা পরিসংখ্যানগত শিক্ষা

AI ও লেখালেখি: কীভাবে পাল্টে যাচ্ছে সাহিত্যজগৎ

১. তথ্য খোঁজার গতি বৃদ্ধি

আগে একজন লেখক বা গবেষককে কোনো বিষয়ে জানার জন্য ১০-২০টা বই ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করতে হতো। এখন AI মুহূর্তের মধ্যে বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য এনে দিতে পারে।

২. খসড়া লেখা ও সম্পাদনা

আজকাল AI কেবল লেখার আইডিয়া বা গঠনই নয়, পূর্ণাঙ্গ খসড়াও প্রস্তুত করতে সক্ষম। ChatGPT, Jasper, Copy.ai এর মতো টুল লেখকদের খসড়া তৈরির কাজ সহজ করে তুলেছে। এমনকি, Grammarly-এর মতো টুল ব্যবহার করে সম্পাদনার কাজও অটোমেটেড করা যাচ্ছে।

৩. পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী লেখা

AI পাঠকের আচরণ বিশ্লেষণ করে লেখার ধরণ পরিবর্তন করে দিতে পারে, যা প্রথাগত লেখকরা করতে পারেন না এত সহজে। এভাবে লেখালেখিতে এক ধরনের ‘বাজারভিত্তিক সৃজনশীলতা’ তৈরি হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য AI-এর সুফল

১. শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব

২. সৃজনশীল শিল্পে সুযোগ

  • ডিজাইন, অ্যানিমেশন, গল্প, সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা প্রভৃতি AI দিয়ে দ্রুত ও বাস্তবধর্মীভাবে তৈরি করা যাচ্ছে।
  • শিল্পী ও লেখকরা AI-কে ‘সহযোগী শিল্পী’ হিসেবে ব্যবহার করে নতুন ধারার সৃষ্টি করছেন।

৩. বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণা কাজের গতি

  • দ্রুত ডেটা বিশ্লেষণ, প্যাটার্ন চিনতে পারা, এবং অটোমেটেড রিপোর্ট তৈরি এখন বাস্তবতা।
  • চিকিৎসা, জলবায়ু, মহাকাশ গবেষণায় AI বিশাল ভূমিকা রাখছে।

AI-এর কুফল: প্রযুক্তির সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার ভয়

১. চাকরি হারানোর সম্ভাবনা

  • কন্টেন্ট রাইটার, সাংবাদিক, অনুবাদক, এমনকি আইনি সহকারী পর্যন্ত অনেক পেশায় AI প্রতিস্থাপন করছে মানুষকে।
  • ২০২৩ সালের World Economic Forum-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৫ মিলিয়ন চাকরি AI-এর কারণে হুমকির মুখে পড়বে।

২. সৃজনশীলতার স্থবিরতা

  • AI রচিত কনটেন্ট মানবিক অনুভূতি বা অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না।
  • দীর্ঘমেয়াদে লেখকেরা নিজস্ব কণ্ঠ হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন।

৩. তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা ও গোপনীয়তা

  • AI কখনো কখনো ভুল তথ্য দেয় (যাকে বলা হয় “hallucination”)।
  • ব্যবহারকারীর তথ্য অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে।

৪. নৈতিক ও সামাজিক সংকট

  • কে লেখক? AI না মানুষ?
  • কীভাবে নির্ধারণ হবে কপিরাইট?
  • শিক্ষার্থী AI দিয়ে পরীক্ষা বা হোমওয়ার্ক করে ফেললে মূল্যায়নের ভিত্তি কী হবে?

লেখালেখিতে AI: পরিপূরক না প্রতিস্থাপক?

লেখকরা এখন দুটি ভাগে বিভক্ত:

  • AI-সহযোগী লেখক: যাঁরা AI-কে সহায়ক হিসেবে দেখেন—তথ্য সংগ্রহ, রূপরেখা তৈরিতে।
  • AI-নির্ভর লেখক: যাঁরা পুরো লেখার কাজই AI দিয়ে করিয়ে নেন।

এখানে একটা মৌলিক প্রশ্ন আসে: “যদি একজন লেখক AI দিয়ে সম্পূর্ণ বই লিখে ফেলেন, তবে সেই বইয়ের মূল সৃষ্টিকর্তা কে?”

সতর্কতা ও সুপারিশ: ভারসাম্যই মূল চাবিকাঠি

১. AI ব্যবহারে নৈতিকতা শিক্ষা দিন: স্কুল-কলেজ পর্যায়েই AI ব্যবহারের নিয়ম, দায়িত্ব ও সীমা শেখাতে হবে।

২. সৃজনশীলতার চর্চা জারি রাখতে হবে: শিশু-কিশোরদের হাতে কলমে লেখা, কবিতা, নাটক লিখতে উৎসাহিত করুন।

৩. AI ব্যবহারে সীমা নির্ধারণ করুন: লেখালেখির ক্ষেত্রে AI যেন সহায়ক হয়, বিকল্প না হয়।

৪. মানবিক উপাদান রক্ষা করুন: লেখালেখিতে অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, আত্মদর্শনের জায়গা তৈরি রাখা দরকার।

চিত্রঃ মানুষের মানবিক বুদ্ধিমত্ত্বা বনাম মানুষের তৈরী যন্ত্র মানবের বুদ্ধিমত্ত্বা, কে আগে ?

এই প্রসঙ্গে বাংলার বিখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পাই। যেমন, এই প্রসঙ্গেবার্তা প্রকাশন” ও “SMLM” ( সোশ্যাল মিডিয়া লিটারেরি মিট) কর্ণধার সৌরভ বিশাই- বলেছেন:

চিত্রঃ সৌরভ বিশাই

“বর্তমানে AI প্রযুক্তি যেমন লেখকদের জন্য সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করছে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা হ্রাসের আশঙ্কাও তৈরি করছে। দ্রুত লেখা তৈরি হলেও মৌলিক ভাবনা ও আবেগপ্রবণ সাহিত্য রচনায় মানুষের অনুভবই প্রধান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখকরা AI-কে গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ ও ভাষাগত সহায়তায় ব্যবহার করে উপকৃত হবে, তবে সৃষ্টিশীলতার আসল প্রাণ থাকবে মানবমনেই। AI সহযোগী, প্রতিস্থাপক নয়—এই ভারসাম্যই হবে ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।”

আবার তরুণ লেখক আদর্শ মাইতি’ মতে,

চিত্রঃ আদর্শ মাইতি

“কিছু লেখক AI এর ওপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন ঠিকই। সেই ক্ষেত্রে বলা চলে তাঁদের সৃজনশীলতার অভাব বরাবরই ছিল তাই তা হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। লেখকের সৃজনশীলতার উৎসই হচ্ছে কল্পনা ও অনুভব যা একান্তই মানবিক উপাদান। কোনো AI চ্যাট বটের ক্ষেত্রে সেই উপাদান প্রদান করা কিংবা কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়।কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা, বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, ভাষার পরিমার্জন ইত্যাদি বিষয়গুলি অনেক সহজ করে দেয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর ফলে দ্রুত ও নির্ভুল তথ্যের সাহায্যে অনেক লেখালেখি করা যায়। এই দিক থেকে AI কিন্তু বেশ সহায়ক হাতিয়ার।”

আমার প্রশ্ন ছিল, বর্তমান সময় AI- এসে লেখকদের সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলছে কি? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখক ও সাহিত্যিকদের ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ কতটা সাহায্য করছে? এর উত্তরে একজন প্রকৌশলী, বইপ্রেমী এবং মননশীল মানুষ কৌশিক ঘোষ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সঙ্গে সঙ্গে তরুণ লেখক লেখিকাদের লেখনী শৈলী নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার বক্তব্য;

“আমার মনে হয়না । যতই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কথা বলা হোক না কেনো , সব সময় মানুষের নিজস্ব সৃজনশীলতা এসবের ঊর্ধ্বে । এখনকার লেখক লেখিকাদের মধ্যে বেশিরভাগই সৃজনশীল নয় । সেই উচ্চমানের ভাবনাই নেই । আজকের কোনো লেখক কি একটা মাধুকরী বা সাতকাহন লেখার মতন যোগ্যতা রাখে ? নাকি ফেলুদা , ব্যোমকেশ বা কিরিটির মতন গোয়েন্দা চরিত্র তৈরি করার যোগ্যতা রাখে । নিজেদের নিম্নমানকে AI এর দোহাই দিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে মাত্র।”

একই প্রশ্নের উত্তরে, লোকসংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষার গবেষক ও সাহিত্যিক ড: আদিত্য মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 

  “আমি  এর সঙ্গে  একমত নই।হৃদয়ের যে আবেগ থেকে সৃষ্টির উৎসারণ,তা যন্ত্র দিতে পারে বলে আমার বিশ্বাস নেই।”

সব শেষে,

মানুষ চালাবে প্রযুক্তি, না প্রযুক্তি চালাবে মানুষকে?”

AI আমাদের জীবনে অভাবনীয় সুবিধা এনেছে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রযুক্তির এই সুবিধাগুলো যাতে আমাদের মৌলিক চিন্তাশক্তি, অনুভব, ও সৃজনশীলতাকে গ্রাস না করে ফেলে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন AI-এর সহায়তায় সৃজনশীল, মানবিক ও আত্মসচেতন হয়ে ওঠে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: 

Avatar photo
+ posts

সম্পাদনা, সাংবাদিকতা, এবং সৃজনশীল লেখায় প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অদিতি এক উদীয়মান সাহিত্যিক কণ্ঠ। বাংলা সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং সুগভীর প্রতিভার অধিকারী এক তরুণ লেখিকা। বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে, নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল এবং সংকলনে তার লেখা প্রকাশ হয়েছে। তার লেখা একক বই এবং সম্পাদিত সংকলন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে, তার “মৃত্যু মিছিল” বইটি পাঠকমহলে বেশ জনপ্রিয়। তার সৃষ্টিশীলতার প্রসার ঘটেছে আকাশবাণী এবং ফ্রেন্ডস এফএম-এ, যেখানে তার লেখা সম্প্রচারিত হয়েছে। অদিতির মতে, "বইয়ের থেকে পরম বন্ধু আর কেউ হয় না," এবং এই বিশ্বাস তাকে সাহিত্য জগতে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বর্তমানে তিনি “বিশ্ব বাংলা হাব” -এ লেখক পদে কর্মরত।

অদিতি সিংহ
অদিতি সিংহ
সম্পাদনা, সাংবাদিকতা, এবং সৃজনশীল লেখায় প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অদিতি এক উদীয়মান সাহিত্যিক কণ্ঠ। বাংলা সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং সুগভীর প্রতিভার অধিকারী এক তরুণ লেখিকা। বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে, নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল এবং সংকলনে তার লেখা প্রকাশ হয়েছে। তার লেখা একক বই এবং সম্পাদিত সংকলন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে, তার “মৃত্যু মিছিল” বইটি পাঠকমহলে বেশ জনপ্রিয়। তার সৃষ্টিশীলতার প্রসার ঘটেছে আকাশবাণী এবং ফ্রেন্ডস এফএম-এ, যেখানে তার লেখা সম্প্রচারিত হয়েছে। অদিতির মতে, "বইয়ের থেকে পরম বন্ধু আর কেউ হয় না," এবং এই বিশ্বাস তাকে সাহিত্য জগতে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বর্তমানে তিনি “বিশ্ব বাংলা হাব” -এ লেখক পদে কর্মরত।

প্রাসঙ্গিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সাথে থাকুন

110FansLike
105FollowersFollow
190SubscribersSubscribe
- বিজ্ঞাপন -spot_img

বাংলা ক্যালেন্ডার

সাম্প্রতিক